একক উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি জামায়াতের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। অতীতে তিনটি সংসদে জামায়াতের এমপি ছিলেন এখান থেকে। এবার দলটি প্রার্থী করেছে জেলা শূরা সদস্য ওবায়দুল্লাহ সালাফীকে।

তিনি ইউনিয়নভিত্তিক উঠান বৈঠক, সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। দলীয় গণ্ডির বাইরে সাধারণ ভোটারদের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কারণে সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে বলে জানা গেছে। তবে সাবেক জেলা সহসভাপতি ও দুবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি কেন্দ্র থেকে ইতিবাচক সংকেত পেয়েছেন বলেও দাবি করছেন।

নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর–কিশোরগঞ্জ)

এই আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল গফুরের নাম। ঘোষণার পরপরই দলটির নেতাকর্মীদের একাংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তার প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন ও সাবেক এমপি শওকত চৌধুরী। মনোনয়ন না পেয়ে তারা প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন। শওকত চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন—এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

এই বিভাজনের সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত। দলটি সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ আবদুল মোনতাকিমকে প্রার্থী করেছে। ধারাবাহিক প্রচারের মাধ্যমে তিনি ভোটারদের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি নেতাকর্মীদের। অবাঙালি অধ্যুষিত এ আসনে বিহারি ভোটের বড় অংশ দাঁড়িপাল্লায় যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এ আসনে এনসিপি প্রার্থী করেছে জুলাইযোদ্ধা আবু সাইদ লিয়নকে। পাশাপাশি সাবেক এমপি সিদ্দিকুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *